স্পোর্টস রিপোর্টার :
একইভাবে আত্মত্যাগ করতে হবে। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ক্রিজে শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। দু’জনেই বড় শট খেলেন এবং উইকেটও বিলিয়ে দেন।
এরপর বাংলাদেশের কাছে খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অলৌকিক ঘটনার কোন গল্প হয়নি,চেন্নাইতেও নয়। ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।
এই হারের জন্য দায়ী কে? ব্যাটসম্যান, বোলার নাকি কোচিং! ফাস্ট বোলারদের শক্তির পাশাপাশি খেলায় স্পিনারদের অভাবও দেখেছেন সবাই। ব্যাটিং ইউনিটের অবস্থান, বোলিং ইউনিট অতিক্রম করে, অযোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে উইকেট হারিয়েছে এবং ফিলন্ডিকেও বড় খামখেয়ালী হিসেবে দেখা হয়।
এদিকে বিসিবি বলেছে, হেরে যাওয়া খেলায় জিতলেও এভাবে অযোগ্যতা দেখিয়ে লজ্জাজনক পরাজয় মেনে নেওয়া ঠিক নয়। এই লজ্জাজনক হারের জবাব সবাইকে দিতে হবে।
শেষ উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা। ২৮০ রানের এই জয়ের পর ভারতীয় শিবিরে তেমন উৎসাহ ছিল না। যেন এই ঘটনা ঘটারই ছিল। আসলে, দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ইনিংস ১৪৯ রানে শেষ হওয়ার পর চেন্নাই টেস্টের ভাগ্য নিশ্চিত হয়।
পরবর্তী দিনে এটি সম্পন্ন হয়। রানের নিরিখে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয় ২০৮ রানে। চেন্নাইয়ে সেই লজ্জা লুকাতে পারেনি টাইগাররা।