নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ এখানে হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করবে, তাদের জানমাল ভোগ করবে। যার যার ধর্ম তারা নির্বিঘ্নে পালন করবে, বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হতো, এখন শেখ হাসিনা সরকার নাই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনও নাই। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের পেছনে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের হাত ছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শেরপুর শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধর্ম-বর্ণ ভিন্নমত সবার জন্য খেলাফত’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবং ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে শেরপুরে গণসমাবেশ আয়োজন করা হয়।
খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে মুহাম্মদ মামুনুল হক আরও বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার ও তার দোসরদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করা হলে এ দেশের মানুষ তা মানবে না। বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল ইনশাআল্লাহ বলার মধ্যে দিয়ে। ইনশাআল্লাহ বলার মানে হলো মহান আল্লাহর ওপর আস্থা বিশ্বাস রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু এ দেশে শেখ হাসিনা ইসলামকে বিতাড়িত করার পাঁয়তারা করেছিল। ছাত্রজনতা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ৫ আগস্ট এদেশের মানুষের ভাষায় দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে এদেশের মানুষের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অনেক জুলুম নির্যাতন সাহায্য করতে হয়েছে। বছরের পর বছর কারারুদ্ধ, গুম-খুন ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে। অনেক মা তার সন্তানকে হারিয়েছেন। একমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার একদলীয় আমলে অনেক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও পিলখানায় ৫৭ জন সেনা হত্যা, শাপলা চত্বরে হেফাজতের নেতাকর্মী হত্যা, মিথ্যা মামলায় আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াসহ অনেক কুরআনপ্রেমীদের পাখির মতো হত্যা করা হয়েছে।