বিশেষ প্রতিবেদন :
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে কুমারীরূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করলেন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শুক্রবার কুমারী পূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মঠ ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। তৈরি হয় হাজারো ভক্তের দীর্ঘ লাইন। এ সময় ভক্তরা উলুধ্বনি দেন এবং কুমারী দেবী ও দুর্গা দেবীর জয়ধ্বনি করেন। ঢাক, ঢোল, ঘণ্টা, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো প্রাঙ্গণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় কুমারী পূজা। শেষ হয় বেলা ১২টায়। অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাসÑএই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। অর্ঘ্য দেওয়ার পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। দেবী মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পর করা হয় প্রসাদ বিতরণ।
পূজা শুরুর আগে পর্দায় ঢাকা মণ্ডপে অধিষ্ঠিত করা হয় ‘কুমারী মাকে’। পরে খুলে দেওয়া হয় পর্দা। তখন হাজারো ভক্ত জয়ধ্বনি দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। লাল শাড়ি পরে আসা কুমারী মায়ের দুই হাতে ছিল দুটি পদ্মফুল। এছাড়াও গয়না, পায়ে আলতা, ফুলের মালা এবং অলংকারে সাজানো হয় দেবীরূপে। পূজার সময় পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের ফাঁকে ফাঁকে বাজানো হয় ঢাক-ঢোলের বাদ্য, কাঁসর-ঘণ্টা ও শঙ্খ।
পূজার কার্যক্রম শেষে কুমারী মায়ের নাম জানান রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাÍানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, এ বছর কুমারী মা হয়েছেন সংহিতা ভট্টাচার্য। তার বয়স ৮ বছর, জš§ ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। শাস্ত্রমতে এদিন তার নামকরণ করা হয় কুবজিকা। সংহিতার বাবার নাম সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মা অর্পিতা ভট্টাচার্য। কক্সবাজারের রামুর একটি স্কুলের কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থী সংহিতা। ঢাকার রামপুরার বনশ্রী এলাকায় তাদের বাসা। কুমারী দেবী সংহিতা ভট্টাচার্য বলেন, আমি সবাইকে আশীর্বাদ করেছি। সবার কল্যাণ হোক।