বিশেষ প্রতিনিধি:
৩০ দিনে ১৬ হাজার টাকা বেতনের উপরেও কিছু অসাধু কর্মকর্তার চোখ?
সারাদেশে ৬০ হাজারের ও বেশি অঙ্গীভূত আনসার সদস্য সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ডিউটি পালন করে যাচ্ছে।জানেন কি এ সকল অকুতোভয় আনসার সদস্যদের দৈনিক হাজিরা কত? মাত্র ৫৩৯ টাকা! তাই একত্রিশ দিনে মাস হলে একজন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য সর্বসাকুল্যে ১৬ হাজার ২ শত টাকা বেতন পায়। একবারও কেউ ভেবে দেখেছেন কি তাদের সংসার কিভাবে চলে?
যানা যায়,আনসারসহ ১০ বাহিনীর রেশন উত্তোলন খরচ বাড়ানো হবে মর্মে চলতি বছরের ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু অন্যান্য ৯টি বাহিনীতে রেশন উত্তোলন খরচ ধার্যকৃত আগের টাকা নেয়া হলেও আনসার বাহিনীর সকল সদস্যের নিকট থেকে আগের ১২৫ টাকার পরিবর্তে ৫৮৪-৬শত টাকা নেয়া হচ্ছে যা শতাধিক আনসার সদস্য, সহকারী কমান্ডার(এপিসি) ও কমান্ডার(পিসি)দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানা যায়। তাহলে একজন আনসার সদস্যদের রেশন উত্তোলন বাবদ মাসে ৪৬১ টাকা বেশি নেয়া হলে শুধু জেলার ১৬,০০০ সদস্যের নিকট থেকে মাসে বেশি নেয়া হচ্ছে ৭৩ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা আর সারাদেশে সর্বমোট ৬০ হাজার আনসার সদস্য হিসেব করলে তাদের নিকট থেকে প্রতিমাসে বেশি নেয়া হচ্ছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আবার রেশনের ২৮ কেজি চাউলের মধ্যে জনপ্রতি ৪০০ গ্রাম করে চাউল কম দেয়া হয়। তাহলে শুধু ঢাকা জেলার ১৬ হাজার আনসার সদস্যদের প্রতিমাসে চাউল কম দেয়া হয় ১৬০ মন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন আনসার কমান্ডার (পিসি) — বলেন, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে ডিএমএ মোঃ আসলাম সিকদার, ডিসি,ডিএমএ,ডিএমপি মোঃ শাহাদাত হোসেন, সাবেক পশ্চিম জোন কমান্ডার মোঃ আম্মার হোসেন, ঢাকা জেলা কমান্ডান্ট মোঃ আলমগীর শিকদার, উত্তর জোন কমান্ডার মোঃ আব্দুল জলিল, কেরানীগঞ্জের সাবেক থানা অফিসার (টিবিডিও) মোঃ শহিদুলসহ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রতিমাসে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিম জোন কমান্ডার মোঃ আম্মার হোসেন ও জেলা কমান্ডান্ট মোঃ আলমগীর শিকদারসহ আরো কয়েকজন উপ-পরিচালক ও পরিচালকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা সকলেই নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য।
তাছাড়াও ৩ বছর ডিউটি করার পরে ৬ মাস বিশ্রামে থাকার নিয়ম নিয়ম থাকলেও বাস্তবে ১ বছর ২ বছরও বসে থাকতে হয় ম্যাসেজ বা এসএমএস এর জন্য। তাই এসএমএস আসার পরেও প্রত্যেকটা আনসার সদস্যকে দায়িত্বরত থানা অফিসারের ঘুষ দিয়ে পোস্টিং নিতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারি আনসার কমান্ডার (এপিসি) ও সদস্য বলেন, আমরা যারা আনসার বাহিনীর অঙ্গীভূত সদস্য আছি সকলেই এই বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে জিম্মি। আমরা এ সকল অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা থেকে মুক্তি পেতে ছাত্র সমাজ এবং সমাজের বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা কামনা করছি।
আনসার বাহিনীর রেশন উত্তোলন খরচ কত টাকা এর সঠিক তথ্য জানতে বর্তমান ঢাকা জেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জেলা কমান্ডান্ট মোঃ মোস্তাক আহমেদের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারেন নাই। রেশন উত্তোলন খরচ কত এবং অন্য বিষয়ের মন্তব্য জানতে পরিচালক প্রশাসন (নতুন) গণসংযোগ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং গণসংযোগ কর্মকর্তা রুবেল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কয়েকটি শাখার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন,তাদের মধ্যে ডিসি, ডিএমএ, ডিএমপি, উপ-পরিচালক উইং, পরিচালক এমবডিম্যানসহ উক্ত কর্মকর্তাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উক্ত কর্মকর্তাগণ সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই শুধু কিউ শাখার পরিচালক বলেন, মোবাইলে এত কথা বলা যাবে না আপনি অফিসে আসলে ডকুমেন্টস সহ আপনাকে দিতে পারব।