বিশেষ প্রতিনিধি :
পাইকারি বিক্রেতাদের চেয়ে ও হিসেবি কিছু অসাধু কর্মকর্তা
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোতে ডিউটি চালিয়ে যাচ্ছে ৬০ হাজারেরও বেশি অঙ্গীভূত আনসার সদস্য। সে হিসেবে জনপ্রতি ১ টাকা কম দিলেও মাসে জমা হয় ৬০ হাজার টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আনসার বাহিনীর নিকট থেকে প্রতিমাসে বিভিন্ন অজুহাতে, বিভিন্নভাবে পয়সা হিসেব করে টাকার পাহাড় গড়েছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা। অঙ্গিভুত/সাধারণ আনসার সদস্যদের ব্যবহারের জন্য অভ্যন্তরীণ ২০টি পন্য রয়েছে। সেগুলো হল:–জলপাই রংয়ের ফুল শার্ট বছরে ২টি, কালো রঙের টিসি ফুল প্যান্ট বছরে ২টি, সাদা গেঞ্জি বছরের ৩টি, ওয়েব বেল্ট (আনসার) বছরে ১টি, ফর্মেশন সাইন( আনসার) বছরে ১টি, সোল্ডার টাইটেল (আনসার) বছরে ২টি,ব্যারেট ক্যাপ সবুজ বছরে ১টি,পিটি সু বছরে একজোড়া,নাইলন মোজা বছরে ২ জোড়া,উলেন মোজা বছরে ২ জোড়া,বুট ডি এমএস বছরে ১ জোড়া, উলেন কম্বল ৫ বছরে ২ টি ,উলেন জার্সি ৩ বছরে ১ টি, ক্যাপ ব্যাজ (আনসার) ১ বছরে ১ টি ,পোচেস এমুনিশন বাণ্ডুলিয়ার ৩ বছরে ১ জোড়া ,রেইন কোট ৩ বছরে ১ টি, উইন্টার কোট ৫ বছরে ১ টি,খাকি পলি মশারী ৩ বছরে ১টি, গ্রাউন্ড সিট ৩ বছরে ১ টি , লাইফ জ্যাকেট ৬ বছরে ১ টি করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই ২০টি পণ্য ৬/১২/৩৬ ও ৭২ মাসে প্রত্যেক সদস্যকে দেয়ার কথা থাকলেও শতাধিক আনসার সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন,অভ্যন্তরীণ ২০টি পণ্যের মধ্যে কয়েকটি পণ্য রয়েছে যা আমাদের অনেক সদস্য সেগুলোর নাম ও জানে না এমনকি চোখেও দেখে নাই। উদাহরণস্বরূপ:- ১২ মাসে ২ জোড়া নাইলন ও ২ জোড়া সুতি মোজা দেওয়ার কথা থাকলেও সব মিলিয়ে ২ জোড়া মোজার বেশি কাউকে দেয়া হয় না। তাই এক জোড়া মোজার দাম যদি ৩০ টাকা হয় ২ জোড়া মোজার দাম ৬০ টাকা। সারাদেশে ৬০ হাজারেরও বেশি অঙ্গীভূত আনসার সদস্য রয়েছে। সে হিসেবে ৬০ হাজার আনসার সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ২০টি পণ্যের মধ্যে জনপ্রতি ২ জোড়া মোজা কম দেয়া হলে শুধু একটি পণ্য/ মোজা থেকেই বছরে কম দেয়া হয় ৩৬ লক্ষ টাকা।
এখানে উল্লেখ্য যে সাবেক দক্ষিণ জোন কমান্ডার মোঃ মোস্তাক আহমেদের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করে অভ্যন্তরীণ ২০ পণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানা সাংবাদিকের কাজ না। এমনকি গত ০২/০৫/২০২৪ ইং আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকসহ ৫ জনের নিকট অভ্যন্তরীণ ২০টি পণ্যসহ আরো কিছু তথ্য চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ রুবেল হোসেন এর নিকট গেলে ওই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, অন্য কোথাও জমা দিতে পারবেন না শুধু ডিজি স্যারকে একটা কপি দিতে পারেন তবে তার কোন রিসিভ কপি/প্রমাণ পত্র আপনাকে দেয়া হবে না।