নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা লাকসাম রোডের তাকওয়া হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ডাঃ ইমদাদুল হক নামে এক ব্যক্তি সিভিল সার্জনকে দায়ী করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন
তথ্য মতে ১১ নভেম্বর ২০২৩ তাকওয়া হাসপাতালটি অনুমোদন পায়। কিন্তু অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ৩ বছর আগে তাকওয়া হাসপাতালটি সরকারি অনুমোদন পেয়েছিল। তাকওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ কুমিল্লার সিভিল সার্জন জনাবা নাসিমা আক্তার ও সাবেক ডেপুটি সিভিল সার্জন হাসপাতালটি চালু করতে দেয়নি। তাদের ধারনা সাবেক এমপি বাহারের নির্দেশে সিভিল সার্জন জোরপূর্বক ঐ হাসপাতালের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন। যে কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা অভিযোগটির সঠিক তদন্ত করে সিভিল সার্জন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে কুমিল্লার সিভিল সার্জন জনাবা নাসিমা আক্তারের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করলে তিনি ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে জেলাপ্রশাসক স্যার সহ জেলার সকল কর্মকর্তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কুমিল্লা জেলার সকল অবৈধ স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাই তাকওয়া হাসপাতালটি আবাসিক ভবনে থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জানতে তাকওয়া হাসপাতালের ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক প্রিন্সিপল অফিসার, প্রশাসন প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার পরে তার অফিসে যায়।তিনি দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, আমার হাসপাতালটি যে ভবনে আছে এখানেই মেডিনোভা নামে একটি হাসপাতাল ২৪ বছর যাবত চলেছে। আমরা সিটি কর্পোরেশন অনুমোদন নিয়েছি তখন ও কিছু বলে নাই। আবাসিক ভবনে থেকে বাণিজ্যিক ভবনের ভাড়া দিচ্ছি এ বিষয়েও কেউ কিছু বলে নাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়েছি তখনও কোন সমস্যা হয় নাই। এখন আমাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তাকওয়া হাসপাতালের পক্ষে অভিযোগকারী ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক। নাক, কান, গলা, থাইরয়েড, হেড- নেক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। এমবিবিএস ( এস ইউ এস টি), ডিএলও( নাক, কান, গলা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় -পিজি হাসপাতাল, ঢাকা। নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন, সহকারী অধ্যাপক কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুমিল্লা।