জাতীয় গৃহায়নের প্রধান কার্যালয়ের ভূমি শাখার অফিস সহকারী মোঃ শওকত এর বিরুদ্ধে ঘুষ -দুর্নীতি এমনকি নথি আটকে পাহাড়সম অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ভূমি শাখার এলএমএসএস শওকত যে কোনো কাজেরই সেবা গ্রহীতা আসুক না কেন তা জানার পর তৎপরতা শুরু হলেই নড়েচড়ে বসেন তিনি। তার আস্থাভাজন সিন্ডিকেটকে সাথে নিয়েই সেবাগ্রহীতাদের জিম্মি করতে চলতে থাকে তার ফন্দিফিকির। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে গোপন পথে সুবিধা বাগিয়ে নেয়ার তদবিরবাজিতেই বেশি আগ্রহ তার।
এমনকি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয়, সাক্ষর ব্যবহার করে একগাদা মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন দপ্তরে দপ্তরে।এমন অপরাধ- অপকৌশলে ওই ধূর্ত এমএলএসএস লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তিনি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের হেড কোয়ার্টারে কর্মরত থাকাবস্থায় সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে এরইমধ্যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অসাধু এক দাপুটে কর্মকর্তার সকল অপকর্ম, গোপন অর্থের লেনদেন, টাকা পাচারসহ যাবতীয় অনৈতিক কাজের ‘ম্যানেজম্যান’ হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। তাই অনিয়ম ও ঘুষবানিজের মাধ্যমে পাহাড়সম অবৈধ সম্পদ অর্জনের ফলে দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
দুদকে পাঠানো অভিযোগপত্রে গৃহায়ণের এমএলএসএস শওকতের লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সহায় সম্পদের কিছু বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, তার বর্তমান বাসা নং- ১/১,১/২, ১/৩, ১/৫, রোড-২৫ (পেরিস রোড) ব্লক-ডি, ফ্ল্যাট নং বি/২, ৪র্থ তলা, সেকশন-১০, ঢাকা-১২১৬। উক্ত বাসায় তিনি স্বপরিবারে বর্তমানে বসবাস করিতেছেন।
উক্ত ফ্ল্যাটটির বর্তমান মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে। (২) প্লট নং- ৫৬, রোড-১২, ব্লক-ডি, সেকশন-১২, পল্লবী, ঢাকা। উক্ত প্লট দুইটি তিনি তার স্ত্রী নামে ক্রয় করেছেন দুই কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে। (৩) বাসা নং-৭৮, রোড-০৮, মুক্তি হাউজিং, মিরপুর-০১, ব্লক-এ, উক্ত বাড়ীটি তিনি ৩য় তলা ১টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। (৪) বাসা-৭৬, রোড-৫, কাটাসুর মোহাম্মদপুর, ঢাকা উক্ত বাড়ীটি তিনি ৫ম তলা পর্যন্ত নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে। (৫) প্রট নং-৪৫, রোড-৭, আমিন বাজার (সাভার) জেলা-ঢাকা। উক্ত বাড়ীটি ১৭ কাঠা জমি ৫ম তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তিনি বর্তমানে জাতীয় গৃহায়নের প্রধান কার্যালয়ের ভূমি শাখার উপ পরিচালক-১, ঢাকা এর দপ্তরে কর্মরত আছেন।থাকার কারনে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে নথি লুকিয়ে রেখে মানুষকে হয়রানি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত করলে আরো সত্যতা পাওয়া যাবে। তার স্ত্রীর ৫২ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যা তিনি আয়কর নথিতে প্রর্দশন করে নাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এমএলএসএস শাখার মোঃ শওকত এর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ভূমি শাখার উপ-পরিচালক মো:সেলিম শাহ্ -নেওয়াজ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনিও ফোন ধরে নাই।